সাড়া বিশ্বে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপক ব্যবহার হলেও আমাদের দেশেএর তুলনামূলকভাবে চাহিদা অনেক কম। অনেক ব্যবসায়ী ডিজিটালমার্কেটিংকে তাদের ব্যবসায়ের জন্য প্রয়োজনই মনে করেননা। অথচডিজিটাল মার্কেটিং প্রয়োগ করলে সে অনেক নতুন কাস্টমার তৈরি করতেপারেন এবং প্রতিযোগীদের সাথে সহজেই প্রতিযোগিতা করতে পারতেন।আবার অনেকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে ফেসবুক এ মার্কেটিং করাকে বুঝি, ফেসবুক মার্কেটিং বলতে ফেসবুক এ অ্যাড (বুস্ট) দেয়াকে বুঝি, ফেসবুক এঅ্যাড দেয়া বলতে কত বেশি রিচ করানো যায় তা বুঝি, হাহাহা! প্রথমতআমরা পুরো বিষয়টার দিকে নজর দিচ্ছি না আবার অন্য দিকে আমারবিষয়টাকে অন্য দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছি । যারা ডিজিটাল মার্কেটিং এরপ্রয়োজনীয়তা বুঝতে চান এবং ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান, তাদের জন্য জন্য এই পোস্ট।
১. ভোক্তারা বেশি বেশি ডিজিটাল হচ্ছে :
সময় এবং প্রযুক্তির পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রতিটি পণ্যের ভোক্তার মাঝে অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। ভোক্তারা এখন কোন পণ্য কেনার আগে দেখতে চায়সেই পন্যটি কেমন? কি কি গুনাবলী রয়েছে? ভোক্তা সেই পণ্য গ্রহন করলে কি কি সুবিধা পাবে? অন্য আর কে এমন ধরণের সেবা প্রদান করে? তাদেরসাথে এই পণ্যের পার্থক্য কি? তার পরিচিত কেউ একই পণ্য ব্যবহার করছে কিনা বা সাধারণ জনগন এই পণ্য ব্যবহার করে কি রিভিউ দিচ্ছে ইত্যাদি, এইবিষয়গুলো জানার জন্য ভোক্তা সহজেই ব্যবহার করে তার হাতের মোবাইলটি বা কম্পিউটারটি। আগে একটা সময় ছিল, এই প্রশ্নগুলো ভোক্তা জানতেচাইলেও কম সময়ে সহজেই জানতে পারতেন না কিন্তু এখন গুগল বা ফেসবুক-এ সার্চ দেওয়ার মাধ্যমে দেখতে সহজেই পণ্যের ছবি, পণ্যের বৈশিষ্ট্য এবংপণ্য কোন কোম্পানী সরবরাহ করছে, ভোক্তা মতামত এবং আর অনেক উত্তর খুব সহজেই দেখতে পায় এবং যে সব পণ্য এর তথ্য সহজেই পেয়ে যায়এবং পজিটিভ রিভিউ দেখে সে সব পণ্য কিনতে সব চেয়ে বেশি আগ্রহী হয়। যেহেতু ভোক্তা পণ্য ক্রয় করার পূর্বে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করছে তাইআপনাকেও ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করেই তার কাছে পৌছাতে হবে। আপনাকে ব্রান্ড এবং আপনার পণ্যকে গুগল, ফেসবুক, টুইটার বা ইউটিউবেরমাধ্যমে কাস্টমারের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। যেন তারা আপনার ব্রান্ড বা পণ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে সহজেই খুজে পায়। তাহলে আপানর পণ্যেরবিক্রয় বৃদ্ধি পাবে। আপনার ব্যবসায়ের উন্নয়ন হবে। ২০১৮ সালে ভোক্তারা রিভিউ এর দিকে আরো বেশি নজর দিবে, তাই এ বিষয়ের দিকে ভাবাজরুরী।
২. অল্প খরছে ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রেটেজির প্রয়োগ করা যায়:
প্রচলিত মার্কেটিং পদ্ধতির সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় পার্থক্য হল ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে খুব কম খরচে আপনি আপনারব্যবসায়কে কাঙ্ক্ষিত কাস্টমারের কাছে পৌছাতে পারবেন। একটি ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে বা একটি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আপনার পণ্যকেলক্ষাধিক কাস্টমারের কাছে খুব সহজে পৌছাতে পারবেন যা প্রচলিত লোকাল মার্কেটিং পদ্ধিতে অনেক ব্যয়বহুল। ফেসবুক অ্যাডের মাধ্যমে কয়েক ডলারখরচ করে আমাদের দেশে হাজার মানুষের কাছে পণ্য সম্পর্কিত তথ্য পৌছে দিচ্ছে বিভিন্ন ই-কমার্স কোম্পানী। তাও আবার বয়স, পেশা, ইন্টারেস্টইত্যাদির মাধ্যমে টার্গেট করে সঠিক ব্যক্তির কাছে পৌছানো যাচ্ছে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই সুযোগ লুফে নিচ্ছে পৃথিবীর সকল ছোট বড়কোম্পানী গুলো। আপনি কেন আপনাকে গুটিয়ে রাখবেন।
৩. সহজেই ট্র্যাক করা যায়:
মার্কেটিং করার সাথে সাথে মার্কেটিং এর রেজাল্ট ট্র্যাক করতে হয়। মার্কেটিং এর পদক্ষেপ কেমন হল? কতটুকু সফলতা পাওয়া গেল? পণ্য বা সার্ভিসকাস্টমারের কেমন লাগল? ইত্যাদি জানতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর ট্র্যাকিং সিস্টেম এর মাধ্যমে। আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্বপূর্ন অংশ এসইও করেন তাহলে সহজেই ভিজিটর পাবেন এবং সেই ভিজিটরকে গুগল এনালাইটিকের মাধ্যমে ট্র্যাক করতেপারবেন। অর্থাৎ আপনার এসইও পদ্ধতিটি কত জন মানুষকে আপনার কাছে নিয়ে আসতে পেরেছে তা জানতে পারবেন এবং তার ফলাফল কি তা বুঝতেপারবেন।
তারপর মার্কেটিং এ কি পরিবর্তন দরকার? কি নতুন যোগ করা দকার তা বুঝতে পারবেন। কিন্তু প্রচলিত মার্কেটিং পদ্ধতির মাধ্যমে কতজন আপনারসম্পর্কে জানতে পারলো তা বুঝতে পারা যায় না। যেমনঃ আপনি আপনার ব্যবসায়ের মার্কেটিং বিভিন্ন ব্যানার বা পোস্টার এর মাধ্যমে করলেন কিন্তুবলতে পারবেন না এই পোস্টার বা ব্যানার কত জন দেখল এবং কত জন আপনার সম্পর্কে জানলো। অথচ ডিজিটাল মার্কেটিং-এ প্রায় প্রতিটি দিক ট্র্যাককরা যায়। যদি আপনার মার্কেটিং স্ট্রেটেজিতে কোনরকম ভালো ফলাফল না আসে তাহলে সেই স্ট্রেটেজি খুব সহজেই পরিবর্তন করে ফেলতে পারবেন।এটি মার্কেটিং ব্যয়ও কমাবে।
৪. ট্রেন্ড গুলো সহজেই সনাক্ত করা যায়:
মার্কেটিং এর জন্য ট্রেন্ড সবসময় গুরুত্বপূর্ন। ট্রেন্ড মার্কেটিং পদ্ধতিকে পরিবর্তন করে। কারণ মার্কেটিং সবসময় ট্রেন্ড অনুসারে হতে হয়। আবার ট্রেন্ডওসর্বদা পরিবর্তনশীল। তাই একজন মার্কেটারকে সর্বদা ট্রেন্ডের প্রতি লক্ষ রাখতে হয়। ট্রেন্ড সনাক্ত বা ট্রেন্ড অনুসরন করার সবচেয়ে কার্যকরী মাধ্যম হলডিজিটাল মাধ্যম। ডিজিটাল মার্কেটিং–এ সকল ট্রেন্ড সহজেই জানা যায় ও বুঝা যায়। গুগল ট্রেন্ডে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে কোন ধরণের ট্রেন্ড গুলোচলছে তা দেখা যায়। মার্কেটিং পদ্ধতি তৈরির পূর্বে সেই ট্রেন্ড অনুসারে কৌশল তৈরি করা যায়।
৫. কাস্টমারের সাথে সম্পর্ক তৈরি করা অনেক সহজ:
আমারা জানি কাস্টমারের সাথে সম্পর্ক তৈরি করা একটি ব্যবসায়ের জন্য কতটা গুরুল্বপূর্ন। এই সম্পর্ক সহজেই তৈরি করা যায় ডিজিটাল মার্কেটিং এরমাধ্যমে। ডিজিটাল মার্কেটিং করা হয় ওয়েবসাইট, ব্লগ, ফেসবুক পেইজ, ইউটিউব ভিডিও ইত্যাদির মাধ্যমে যেখানে সরাসরি কাস্টমার তাদের অভিজ্ঞতাপ্রকাশ করতে পারে। যার মাধ্যমে তাদের সাথে সহজে সম্পর্ক তৈরি হয়। তাদের পছন্দ অপছন্দ সম্পর্কে জানা যায় এবং তার উপর নির্ভর করে উদ্যোগনেয়া যায় সহজেই। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এই দিক দিয়ে প্রচলিত মার্কেটিং পদ্ধতি থেকে কার্যকরী।
৬. প্রতিযোগী ব্যবসায়ী:
আপনি কেন ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন এর সবচেয়ে সহজ উত্তর হল আপনার প্রতিযোগী ব্যবসায়ী ডিজিটাল মার্কেটিং করছে। আমাদের দেশে হোক বাআন্তর্জাতিক, ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োগ দেখতে পারবেন সকল ক্ষেত্রে। আজ আমাদের দেশের খুব ছোট একজন ব্যবসায়ী তার পণ্য ফেসবুক পেইজেরমাধ্যমে প্রচার করছে। লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে কাস্টমারকে পণ্য দেখাচ্ছে। ঠিক তেমনি বড় বড় কোম্পানীগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য প্রফেশনালডিজিটাল মার্কেটার নিয়োগ দিচ্ছে, ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজিস্ট এর পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করছে। আপনি কেন করবেন না? আপনি যদি ডিজিটালমার্কেটিং না করেন তাহলে কাস্টমারের একটি বড় অংশ আপনা পণ্য এবং ব্রান্ড সম্পর্কে জানতে পারবেন না। তখন এই সুযোগটি আপনার প্রতিযোগী গ্রহনকরে নিবে।
Hello everyone..Welcome to my free masterclass strategy where i teach experience and inexperience traders the secret behind a successful trade.And how to be profitable in trading I will also teach you how to make a profit of $12,000 USD weekly and how to get back all your lost funds feel free to email me on( brucedavid004@gmail.com ) or whataspp number is +22999290178
ReplyDelete