গল্পে গল্পে শিখে নিন কি করে গুগলে একটি ওয়েবসাইট প্রথম পেজে রাঙ্ক করে ?
আইটি এক্সপার্ট : কি রুবেল ভাই কেমন আছেন? আজকে আবার কি প্রবলেম এর সম্মুখীন হলেন ভাই?
রুবেল ভাইঃ কাল রাতে ঘুমাতে পারি নাই। এই ভেবে যে গুগল আমাকে কেন কত শত ওয়েবসাইট এর মাঝে আমাকে প্রথম পেজে কেন দেখাবে ?
আইটি এক্সপার্টঃ যে কোনও সার্চ এর জন্য Google প্রথম পৃষ্ঠায় সে সব ওয়েবসাইট দেখায় যেগুলোকে তার কাছে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক এবং দরকারী বলে মনে করে ভিজিটর বা ট্রাফিক এর জন্য ।
রুবেলঃ ভাই প্রাসঙ্গিক(Relevant) ওয়েবসাইট কি ভাই ?
আইটি এক্সপার্টঃ প্রাসঙ্গিক(Relevant) ওয়েবসাইট বলতে বুঝায় এমন যে আপনি লিখলেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত এর রচয়িতার নাম লিখে সার্চ করলেন কিন্তু আসলো নজরুল সঙ্গীত এর রচয়িতার নাম এর ওয়েবসাইট এইযে উল্টাপাল্টা ফলাফল দেখাল সেই টা হচ্ছে অপ্রসাঙ্গিক কিন্তু যদি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত এর রচয়িতার নাম লিখে সার্চ করলেন এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাম আসে তবে সেইটা প্রসঙ্গিক ।এইভাবেও বলা যেতে পারে আপনি মাইকিং করলেন এলাকা জুড়ে আজকে বিকাল ৫ টায় গঞ্জের মাঠে বিশাল একটা হাতি দেখানো হবে তারপর লোকজন এসে দেখল আপনি হাতি না আপনি দেখাচ্ছেন একটা গাধা লোকজন কে আপনি যেই কাজ টা করলেন অপ্রাসঙ্গিক কাজ করলেন।কি ভাই প্রাসঙ্গিক ও অপ্রাসঙ্গিক কি বুঝতে পারছেন?
করিমঃ জি ভাই,দরকারী বলে মনে করা ওয়েবসাইট দিয়ে কি বুঝালেন ভাই যদি একটু ভেঙ্গে বলতেন?
আইটি এক্সপার্টঃ আপনাকে আগের উদাহরন থেকে বলছি আপনি যদি হাতি দেখানোর জাইগায় হাতি দেখাতেন তবে আপনার এলাকার লোকজন ভাবত না তাদের সময় টা দরকারী কাজে বা সঠিক কাজ ব্যয় হইছে । তেমনি কেউ যদি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত এর রচয়িতার নাম লিখে সার্চ করেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাম আসে তবে সেইটা প্রসঙ্গিক ও দরকারি কাজে তার সময় ব্যয় হল । কি ভাই বুঝতে পেরেছেন?
করিমঃ ভাই তাইলে এমন তো অনেক প্রাসঙ্গিক এবং দরকারী ওয়েবসাইট আসবে যারা রবীন্দ্রনাথ কে নিয়ে লিখছে তাহলে কাকে সবার আগে দেখাবে ?
আইটি এক্সপার্টঃ এটা একটা গুগল এর অংকের(mathematical) প্রসেস যাকে আমরা রাঙ্কিং ফ্যাক্টর হিসবে জানি। যার মাধ্যমে গুগল ঠিক করে কে কত নাম্বার জাইগায় দেখাব, কে এক নাম্বার জাইগায় থাকবে আর কে দশ নাম্বারে দেখাবে ।
করিমঃ তাইলে ভাই আমি যদি একবার এক নাম্বার জাইগায় থাকি তার মানে কি আমি আজীবন এক নাম্বারেই থাকবো ?
আইটি এক্সপার্টঃ না, এটা সময় সময় পরিবর্তিত হয়ে থাকে অ্যালগরিদম এর মাধ্যমে। ভাবছেন অ্যালগরিদম কি তাই না? আসলে অ্যালগরিদম হচ্ছে মানুষের দ্বারা ডিজাইন এবং সেট আপ করা একটা পদ্ধতি যার মাধ্যমে রাঙ্কিং প্রসেসের ভুল ত্রুটি সংশোধন করা হয়ে থাকে , তবে, ওয়েবসাইট দেখানোর তালিকা আলগোরিদিম এর ফলাফল দ্বারা সম্পূর্ণরূপে নির্ধারণ করা হয়। অ্যালগরিদম দ্বারা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটগুলোর তালিকা নির্দিষ্ট করার জন্য মানুষের দ্বারা ম্যানুয়াল হস্তক্ষেপ করা যায় না । যার ফলে অ্যালগরিদম দ্বারা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট কে সার্চ রেজাল্টের বিশেষ সুবিধা দেয়া সম্ভব হয় না । কি করিম ভাই বুঝতে পারছেন ?
করিম : ভাই আরও একটু খোলাসা করে বলেন।
আই টি এক্সপার্ট : ভাই গুগল কি করে রাঙ্ক করে আপনাকে তাহলে পুরো প্রসেসটা জানতে হবে।
করিম : জি বলুন।
আই টি এক্সপার্ট :গুগল প্রথমে তার রোবট পাঠায় যাকে গুগলবট বলে। গুগলবট বিভিন্ন সাইট এ ঘুরে বেড়ায় ক্রল করে। জানি আপনার মনে প্রশ্ন আসছে ক্রল কি ? ক্রল কর হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইট এর সকল তথ্য গুগল স্ক্যান করে নিজের ডাটাবেস এ নিয়ে নেয়া। ক্রলিং এর মাধ্যমে গুগল বুজতে চায় আপনি কোন ক্যাটাগরি বা নিশ এ কাজ করছেন। আপনার কনটেন্ট কি রকম। গুগল এর গাইডলাইন ফলো করছেন তো ? এই গুলোক্রলিং এর পর গুগল রাঙ্ক ব্রেন এর মাধ্যমে গুগল ভিসিটর ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট গুলোকে রাঙ্ক এ নিয়ে আসে। আচ্ছা এখন আপনার হয়তো প্রশ্ন আসবে কি করে পসিবল? এখন উত্তর দিচ্ছি যে ওয়েবসাইট গুলোতে বা আর্টিকেল গুলোতে মানুষ তথ্য পায় ওই ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল এ মানুষ ক্লিক করে থাকে। ভিসিটর এর ক্লিক এর উপর ভিত্তি করে গুগল রাঙ্ক ব্রেন করে থাকে। আরো সহজে বলতে গেলে কোনো একটা ওয়েবসাইট ১ নম্বর এ আছে কিন্তু মানুষ ৩ নম্বর এ থাকা ওয়েবসাইট এ ক্লিক করছে ও বেশি খান থাকছে কারণ ভিসিটর যা চাচ্ছে ঐটাই ৩ নম্বর ওয়েবসাইট এ পাচ্ছে। তখন গুগল ১ নম্বর ওয়েবসাইট এর জায়গায় ৩ নম্বরকে উপরে উঠায়ে দিবে। তখন ৩ নম্বর হবে ১ নম্বর এ বুজতে পেরেছেন? এইবার আসি ফলাফল প্রদান এ যেহেতু গুগল বট তার ডাটাবেস এর তথ্য মতে কিসু সার্চ করার সাথে সাথে মিলি সেকেন্ড এর মধ্যে ফলাফল প্রদান করে থাকে তাই এর মধ্যে তাকে লক্ষ বা কোটি ওয়েবসাইট এর তথ্য থেকে আপনার সার্চ করা ফলাফল প্রদান করে থাকে।এই হচ্ছে সংক্ষেপে গুগল রাংকিং এর কাজ।
করিমঃ জি ভাই, এইবার পুরো ব্যপারটার ধারণা পেলাম। বুঝতে পেরেছি। ভাই আজকে যাই পরে কথা হবে । আল্লাহ হাফেজ।
আইটি উদ্যোক্তা হতে কি কি প্রয়োজন?
সাহস। যথেষ্ট সাহস না থাকলে কোম্পানী শুরু করা যায় না।ধৈর্য়্য। যথেষ্ঠ ধৈর্য্য না থাকলে কোম্পানী টিকিয়ে রাখা যায় না।
প্রচুর বই পড়ার অভ্যাস। নানা রকম বই পড়ার অভ্যাস থাকতে হবে। সেটা যেকোনো রকম বই হতে পারে। অন্যের অভিজ্ঞতাকে নিজের মধ্যে ধারন করার সবচেয়ে সহজ উপায় বই।
পরিশ্রম এবং পরিশ্রম! পরিশ্রম ছাড়া কোনো কিছু অর্জন সম্ভব নয়।
যোগাযোগে ভালো হতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি দুটো ভাষাতেই কথা বলা, পড়া ও লিখার দক্ষতা থাকতে হবে।
সর্বোপরি নিজের কাজকে উপভোগ করতে হবে।
——-আইটি উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য কিছু টিপস——–
যথেষ্ট পরিমান টাকা সঞ্চয় করতে হবে যেন নতুন প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো আয় ছাড়াই কমপক্ষে এক বছর চলা যায়
ব্যক্তিগতভাবে কোনো কিছুর উপর ভালো দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
নতুন কোম্পানীতে অভিজ্ঞ ও দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে হবে। কারণ ছোট অবস্থায় অনভিজ্ঞ কাউকে নিয়ে তার দক্ষতা বাড়ানোর পিছনে সময় দেওয়া সম্ভব হয় না।
ব্যাক্তিজীবনে ও প্রতিষ্ঠানের খরচের ব্যাপারে মিতব্যায়ি হতে হবে।
কোম্পানীর আয়-ব্যায়ের হিসাব (একাউন্টস) ঠিকভাবে রাখতে হবে।
সকল প্রকার আর্থিক লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করার চেষ্টা করতে হবে।
আইটি এক্সপার্টঃ আল্লাহ হাফেজ ।

Comments
Post a Comment